দাদ নিরাময় এখন আপনার হাতে তাহলে আর দেরি কেন :

দাদ বা দাউদ দাদ/দাউদ (Fungal Infection) হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। যদিও দাদ অল্প বয়স্ক পুরুষদের বেশি হওয়ার কথা, কিন্তু বাস্তবে যেকোনো বয়সের নারী, পুরুষের হতেই পারে। দাদ/দাউদ একটি নিচমাত্রার ছত্রাকজনিত ছোঁয়াচে রোগ।   সাধারণত যারা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে থাকেন যেমন- জেলে, গার্মেন্টস কর্মী, মাদ্রাসা ছাত্র, যারা নিয়মিত তাব্লিক করেন, যারা অতিমাত্রায় ঘামেন, যারা একটু অপরিষ্কার থাকেন , যারা একটু স্থুল (obesity) সাধারণত তাদেরই এই রোগ বেশি হয়। দাদ/দাউদ শরিরের যেকোনো স্থানেই হতে পারে।   তবে মাথা, মুখ (face), কান, হাত, হাতের আঙ্গুলের চিপা, বগল, কুচকি, পা, পায়ের আঙ্গুলের চিপা এমনকি কখনো কখনো পেশাব পায়খানা করার রাস্তা (genitalia, Rectum)এবং মুখের ভেতর (oral cavity) হতে পারে। দাদকে এত ছোট করে দেখার কিছু নেই।   সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় না করে উল্টা-পাল্টা steroid cream ব্যবহার না করে আমাদের উচিত একজন চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করা। ছোট রোগ দাদ থেকেই জন্ম নিতে পারে অন্যান্য জটিল দুরারোগ্য ব্যাধি। দাদ চিকিৎসায় আমরা বিভিন্ন ধরনের Anti fungal cream এবং মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে থাকি। কাউকে কাউকে আমরা anti fungal সাবান, পাউডার দিয়ে থাকি।   মাত্র ২০ থেকে ২৫ দিনেই এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া সম্ভব।   রিংওয়ার্ম বা দাদের চিকিৎসায় করনীয়ঃ নিম্নে উল্লেখিত টিপস গুলো নিজে নিজে চেষ্টা করুন- ১। দাদ আক্রান্ত জায়গা ধৌত করুন। এর পর জায়গাটা যেনো শুকিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ করবেন। বিশেষ করে ত্বকের যে অংশে ভাঁজ পড়ে আর আংগুলের ফাঁকে ফাঁকে। ২। দুই রানের কুঁচকিতে দাদ হলে প্রতিদিন আন্ডারওয়্যার পাল্টিয়ে পরতে হবে এবং ভালোমত ধুয়ে নিয়ে পরতে হবে। পায়ের পাতায় দাদ হলে অনুরুপ ভাবে মৌজা পরিবর্তন করতে হবে। একি আন্ডারওয়্যার কিংবা মৌজা অধৌত অবস্থায় পরবেন না। ৩। মাথার ত্বকে দাদ হলে আপনার চিরুনি, চুলেরব্রাশ, টুপি অন্যের সাথে শেয়ার করবেন না। ৪। আপনার কাপড় চোপড়, তোয়ালে, বিছানার চাদর নিয়মিত ধৌত করবেন। ৫। লুজ ফিটিং জামাকাপড় পরবেন। কটনের তৈরি জামা কাপড় পরুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। সাধারনত চিকিৎসকেরা এন্টি ফাংগাল ক্রিম, এন্টি ফাংগাল টেবলেট এবং মাথার স্কাল্পের জন্য এন্টিফাংগাল শ্যাম্পু প্রেসক্রাইব করেন। একসময় আমার দাদ হয়েছিলো। গ্রাইসভিন ট্যাবলেট খাওয়ার পর দাদ সংক্রমণ কমে গিয়েছিলো। যেহেতু এই রোগটি ছত্রাক বাহিত রোগ সেহেতু এটি শুকিয়ে গিয়ে আবার আক্রমন করে। সাবানের সংস্পর্শ পেলে দাদ বেড়ে যায়। তাই খর সাবানের পরিবর্তে কোমল সাবান ব্যাবহার করুন। বাজারে ক্যানভাসাররা পাগলা মলম, বিচ্ছু মলম জাতীয় কিছু ফালতু মলম বিক্রয় করে। ভুলেও সস্তা এ জাতীয় মলম কিনবেন না। এগুলো সামান্য কাজ করে ঠিকই কিন্তু এতে আপনার সমাধান হবে না। পেভিসন ক্রিম আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় একটি ওষুধ। আপনি পেভিসন ব্যাবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যাবহার করলে দাদ সেরে যায়। তবে আমার নির্দেশনা হলো ২-৩ দিন পরপর এই ক্রিমটি লাগান। দাদ আক্রান্ত স্থান ভালো হয়ে যাবার পরও ব্যবহার করে যাবেন। ফলাফল পাবেন নিশ্চিত।   বিস্তারিত জানতে... Any quarries please follow me : ★Instagram- https://www.instagram.com/sumantabannerjee/ ★Facebook Page -https://www.facebook.com/Onlineobsor/ ★Facebook Group - https://facebook.com/groups/274853876672407/ ★Twitter - https://twitter.com/sumanta096?s=08 ★★Dailyhunt(অবসর সময়ের সঙ্গী) -https://profile.dailyhunt.in/sumanta09456 **Plz subscribe This channel Like & share #অবসরসময়েরসঙ্গী https://www.youtube.com/channel/UCOgovPBc-l97fHe4I1o1Diw

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ