আপনি কি এমন কিছু ব্যবহার করে অজান্তেই ত্বকের ক্ষতি করছেন না তো :

 ত্বকের ক্ষতির কারন হতে পারে যেসব উপাদান সুন্দর ত্বক ধরে রাখতে আমরা সবাই আগ্রহী। এ জন্য আমাদেরকে সৌন্দর্য ধরে রাখতে বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন প্রসাধনীর আশ্রয় নিতে হয়। কসমেটিক থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক উপাদান সবকিছুই থাকে এর মধ্যে। তবে কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলোর ব্যবহারে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। আর এগুলো ব্যবহার করা একেবারেই ঠিক নয়। বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে তো কথাই নেই, এই সময় মুখের উপর অনেক ভারি মেইক-আপ করার সাথে সাথে আমরা অনেকে মুখে আল্পনা এঁকে যায়। কেউ কেউ আবার ত্বকে লোশনও ব্যবহার করি। এগুলো একদমই ঠিক নয়। এতে সাময়িকভাবে নিজেকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগলেও এগুলো ত্বকের বেশি ভাগ ক্ষতি করে। অকালে বলিরেখা পড়াসহ ত্বকের আরও নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কাজেই সৌন্দর্য ধরে রাখতে আমাদের একটু বিশেষ ভাবে কিছু জিনিস মুখে না লাগানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে আসুন জেনে নেই কোন কোন উপাদানগুলো মুখের জন্য ক্ষতিকর। ১। বডি লোশন বডি লোশন আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি শীতের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি বস্তু। এটি শরীরের শুষ্ক ভাবকে দূর করতে অনেক সাহায্য করে থাকে। যদিও বডি লোশন শরীরের শুষ্ক ভাব দূর করতে পটু। সেই জন্য আমাদের দেশে অনেকেই বডি লোশন মুখে মেখে থাকেন। এটা কিন্তু ঠিক নয়। লোশনে নানা রকম সুগন্ধী উপাদান থাকে যা মুখের জন্য ভালো নয়। মুলত বডি লোশন তৈরি করা হয় শরীরের জন্য, মুখের জন্য নয়। কারন শরীরের ত্বক মুখের ত্বকের তুলনায় পুরু হয়ে থাকে। আর বডি লোশনকেও সে অনুযায়ী তৈরি করা হয়। সুতরাং আমাদেরকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। আমরা যদি লোশন মুখে ব্যবহার করি তাহলে কোমল ত্বকের অনেক ক্ষতি হবে। ২। লেবু এ তো বলার অপেক্ষা রাখে না লেবুর কতটা স্বাস্থ্যকর গুণ রয়েছে। তবে লেবু মুখের ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই লেবু ত্বকে ব্যবহার করা ঠিক নয়। ৩। গরম পানি গরম পানি দিয়ে গোসল বা মুখ ধুতে অনেকে পছন্দ করতে পারে। তবে গরম পানি মুখের ত্বকে লাগানো ঠিক নয়। এটি মুখের ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। যার ফলে ত্বকের তারুণ্য ভাব চলে যায়। ৪। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এই শক্তিশালী উপাদানটি কেটে গেলে ও পুড়ে গেলে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার কর হয়। তবে এটি ব্রণের চিকিৎসায় কখনোই ভালো উপাদান নয়। এটি প্রদাহ ও অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে। কাজেই এটা একদম ব্যবহার করা যাবে না। ৫। টুথপেস্ট আমরা অনেকেই ব্রণ শুকিয়ে ফেলার জন্য টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি। তবে এ কাজ কখনোই করা যাবে না। টুথপেস্ট মুখের ত্বকে অস্বস্তি বাড়ায় এবং জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। যেমন : কেমিক্যাল বার্ন, স্কার্স ইত্যাদি। সুতরাং আমাদের অনেক সচেতন থাকতে হবে ত্বকের যত্নের বিষয়ে। ৬। ভ্যাসলিন ভ্যাসলিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সাথে ভ্যাসলিন সারা বিশ্বেই ত্বক আর্দ্রতা করার একটি উৎকৃষ্ট উপাদান। এটি শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধে উপকারী। বিভিন্ন কাটাছেঁড়া বা পোকামাকড়ের কামড়ে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে ব্রণ হলে কখনোই ভ্যাসলিন মুখে লাগাবেন না। কারণ, এটি ব্রণ বাড়িয়ে দিতে পারে। ৭। বেকিং সোডা আমরা অনেকেই ভাবি, বেকিং সোডার ব্যবহার ত্বকের মৃতকোষ দূর করার জন্য ভালো মনে হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে এবং ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হইয়ে যাবে। তাই মুখে বেকিং সোডা ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ৮। চিনি অনেকে ত্বকের মৃতকোষ দূর করার জন্য চিনি ব্যবহার করার কথা মনে করে। তবে এটি লাভের বদলে ক্ষতি বেশি হয়। এটি ত্বকের নমনীয়তা কমিয়ে দেয়। তাই মুখে এই উপাদান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। আর খুব প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ৯। হেয়ার স্প্রে জানি আমাদের জীবনে বিলাসীতা চলে আসেছে। চুলেও আমরা হেয়ার স্প্রে করি। সুতরাং এটি ব্যবহার করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে তা যেন ত্বকে না যায় সেইভাবে ব্যবহার করতে হবে। কারণ এর অ্যালকোহল ত্বককে শুধু রুক্ষ্মই করে তোলে না, একইসঙ্গে অকালে বলিরেখা ও অ্যালার্জির মতো সমস্যাও সৃষ্টি করে। ১০। রঙ চুলে কালার করা এখন তো নতুন ফ্যাশন হয়ে গেছে। চুলে রঙ করতে গিয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেন রঙ ত্বকে না লাগে। এগুলো ত্বকের নানা সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী। ১১। ঘি ডালডা বা ঘি জাতীয় কোন দ্রব্য কখনই মুখে লাগানো ঠিক নয়। এগুলো মুখের জন্য অত্যন্ত ভারী হওয়ায় লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। তখন ব্রণসহ ত্বকের আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ১২। ডিওডোরেন্ট কম ঘামার জন্য মুখে কখনই ডিওডোরেনট স্প্রে করা ঠিক নয়। এই কাজটিতেও সৌন্দর্য হানি ঘটে। ১৩। শ্যাম্পু মাথার ত্বক ও চুলকে পরিষ্কার রাখে শ্যাম্পু। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এটা মুখের ত্বকের জন্যও ভালো। কাজেই যতটা পারা যায় এটি ত্বকে লাগানো থেকে দূরে থাকতে হবে। ১৪। নেইলপলিশ অনেক মেয়েরা নেইলপলিশ দিয়ে কপালে টিপ আঁকতে দেখা যায়।এই কাজটিও করা ঠিক নয়। কারন নেইলপলিস এর মধ্যে অনেক রাসায়নিক উপাদান থাকে যা মুখের ত্বকের অনেক ক্ষতি করতে পারে। ১৫। মেয়নিজ মেয়োনিজ তৈরি হয় ডিম, তেল আর ভিনেগারের সংমিশ্রণে। এ উপাদানগুলো রুক্ষ চুলের জন্য খুবই উপকারী।কিন্তু এটি মোটেও মুখের ত্বকের জন্য ভালো নয়। কাজেই এটি ব্যবহার না করাই ভালো। ১৬। ভিনেগার অনেক ঘরোয়া চিকিৎসায় এটি কাজে লাগলেও তা মুখের জন্য ভালো নয়। শুধু তাই নয়, ভিনেগার ব্যবহারের পর হাত ভালো করে ধুয়ে তবেই মুখে হাত দেওয়া উচিত। ১৭। ভুল পণ্য অবলম্বন আমরা অনেকে মনে করি, সাবান বা ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলেই হল। এটা ঠিক নয়। শুধু মুখ ধুলেই হয় না সেটা ভালভাবে পরিষ্কার করারও প্রয়োজন আছে। আর এই কারনে ত্বক ভালভাবে পরিষ্কার হয় না। কিন্তু ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করলে মুখের ধুলা ময়লা, মেইক-আপ এবং মুখের গ্লানি সব সুন্দর ভাবে পরিষ্কার হয়। ১৮। দুইবারের বেশি মুখ ধুলে দিনে আমাদের উচিত এক বা দুইবার ভাল করে মুখ ফেশওয়াশ বা সাবান দিয়ে ধুয়া। কিন্তু আমরা দিনে অনেক বার মুখ ধুয়ে ফেলি। ফলে ত্বকের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এই দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে আমরা আমাদের মুখ দিনে দুইবার এর বেশি সাবান বা ফেশওয়াশ ব্যবহার না করি। ১৯। মুখে জোরে ম্যাসাজ করলে মুখে কখনো বেশি জোরে ম্যাসাজ করা ঠিক নয়। মুখের ভালর জন্য সপ্তাহে ২-৩ বার ম্যাসাজ করা উচিত। কিন্তু অনেক নরম ভাবে ত্বকে ম্যাসাজ করতে হবে। তাহলে মুখে উজ্জ্বলতা আসবে। ২০। নরম গামছা ব্যবহার মুখ মোছার সময় আমরা অনেক সময় শক্ত জাতীয় গামছা ব্যবহার করি। যা একদম ঠিক নয়। শক্ত গামছা আমাদের ত্বকের মোলায়েম কে দূরে সরিয়ে দেয়। সুতরাং এই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২১। ধোঁয়ার পর ময়েশ্চার ব্যবহার অনেকে ধোঁয়ার সাথে সাথে মুখ শুকানোর সময় দেয় না। মুখে ক্রিম দেওয়া শুরু করে। যা মোটেও ঠিক নয়। মুখ ধোঁয়ার পর শুকালে ক্রিম দিতে হবে। বিস্তারিত জানতে... Any quarries please follow me : ★Instagram- https://www.instagram.com/sumantabannerjee/ ★Facebook Page -https://www.facebook.com/Onlineobsor/ ★Facebook Group - https://facebook.com/groups/274853876672407/ ★Twitter - https://twitter.com/sumanta096?s=08 ★★Dailyhunt(অবসর সময়ের সঙ্গী) -https://profile.dailyhunt.in/sumanta09456 **Plz subscribe This channel Like & share #অবসরসময়েরসঙ্গী https://www.youtube.com/channel/UCOgovPBc-l97fHe4I1o1Diw

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ