আপনি কি মারাত্মক রোগ ধবলের কবলে পড়তে চলেছেনঃ

ধবল বা শ্বেতী শ্বেতী রোগ কি ??? --শ্বেতী রোগে ত্বক মেলানিন (যা মানুষের ত্বক, চোখ ও চুলের রঙ নির্ধারণ করে) হারায়। যখন ত্বকের কোষগুলো ক্ষয় হয় বা মারা যায় তখন শ্বেতী রোগ হয়। কারণ ত্বকের কোসগুলোই মেলানিন তৈরি করে। শ্বেতীর ফলে ত্বকের উপর সাদা দাগের আকার দেখা যায়। শ্বেতী রোগ তিনভাবে হতে পারে:  ১। শরীরের অল্প কিছু অংশে  ২। যে কোন একদিকে (বাম অথবা ডান দিকে)  ৩। শরীরের অধিকাংশ জায়গায়  শ্বেতী রোগ হয়েছে কি করে বুঝবেন ??? শ্বেতী রোগের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো সাধারণত: হলো :  ১। ত্বকের উপর সাদা দাগ পড়লে  ২। অল্প বয়সে মাথার চুল, চোখের পাপড়ি, ভ্রু, দাড়ি সাদা বা ধূসর হলে  ৩। মুখের ভিতরের কলাগুলো বর্ণহীন হলে (Mucous membranes)  ৪। চোখের ভিতরের অংশ রংহীণ হলে অথবা রংয়ের পরিবর্তন হলে  ত্বকের কোনো অংশ যখন হঠাৎ করে সাদা হয়ে যায়, চিন্তিত হয়ে পড়েন তখন সবাই। যদিও ত্বক সাদা হয়ে যাওয়ার অনেক কারণ আছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা জানতে চান এটা শ্বেতী রোগ কি না? যদি শ্বেতী হয় তবে প্রায় ক্ষেত্রেই প্রচন্ড মানসিক চাপে রোগীসহ পরিবারের লোকজন সবাই হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ তাদের মাঝে রয়েছে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা।  ভ্রান্ত ধারণাঃ শ্বেতী রোগের কোনো চিকিৎসা নেই।  সঠিক তথ্যঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে শনাক্তকৃত শ্বেতী রোগের কার্যকর চিকিৎসা আছে। যেমন-মেডিকেল থেরাপি, ফটোথেরাপি, লেজার থেরাপি, কসমেটিক সার্জারি ইত্যাদি। রোগ ও রোগীর অবস্থাভেদে চিকিৎসা নির্বাচন করা হয়।  ভ্রান্ত ধারণাঃ শ্বেতী রোগ ছোঁয়াচে, ত্বকের সংস্পর্শে এলে এটা অন্যকেও আক্রান্ত করতে পারে  সঠিক তথ্যঃ এটা কোনোভাবে ছোঁয়াচে নয়।  ভ্রান্ত ধারণাঃ শ্বেতী রোগ বংশগত রোগ।  সঠিক তথ্যঃ শতকরা মাত্র ৩০ ভাগের ক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।  ভ্রান্ত ধারণাঃ একবার শ্বেতী রোগ শুরু হলে ছড়িয়ে পড়বে সম্পূর্ণ দেহে।  সঠিক তথ্যঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা হয় না, বিভিন্ন প্রকার শ্বেতী রোগ আছে। ধরনের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশ পায় এর ব্যাপ্তি ঘটে।  ভ্রান্ত ধারণাঃ শ্বেতী হলে টক বা ভিটামিন সি খাওয়া যাবে না।  সঠিক তথ্যঃ আধুনিক কালের গবেষণায় এটা প্রমাণিত-ভিটামিন সি বা টক খাবারে এই রোগ বাড়ায় না। বরং উপকার করে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে। সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবারের জন্য তাগিদ করা হয়েছে।  ভ্রান্ত ধারণাঃ শ্বেতী রোগে দুধ খাওয়া যাবে না।  সঠিক তথ্যঃ দুধ সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার। এটা বর্জন করা ভুল হবে। দুধ খেলেই যদি শ্বেতী রোগ হয়, তবে পৃথিবীর সব শিশুরই শ্বেতী রোগ হতো। শ্বেতী রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী, রোগ ও রোগীর অবস্থাভেদে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদান, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে দুশ্চিন্তা, ঘষা বা আঘাত লাগানো এবং সূর্যের সরাসরি আলো এ রোগের জন্য ক্ষতিকর।  পরীক্ষা-নিরীক্ষাঃ ক) রোগের ইতিহাস  খ) বংশের রোগের ইতিহাস  গ) ত্বকের বায়োপসি (Skin Biopsy)  ঘ) রক্তের পরীক্ষা  ঙ) চোখের পরীক্ষা   চিকিৎসা ? শ্বেতী রোগের চিকিৎসা ৬-১৮ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ডাক্তার নিচের ব্যবস্থাগুলো গ্রহণের জন্য বলতে পারেন :  ক) ঔষধ ব্যবহার করা (Topical)  খ) মুখে ঔষধ খাওয়া  গ) শল্য চিকিৎসা  সতর্কতা ক) নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে  খ) সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে এমন মলম (ক্রিম) ব্যবহার করতে হবে  গ) যাদের গায়ের রঙ ফর্সা তারা গা তামাটে রঙ করা (Tanning) থেকে বিরত থাকতে হবে বিস্তারিত জানতে... Any quarries please follow me : ★Instagram- https://www.instagram.com/sumantabannerjee/ ★Facebook Page -https://www.facebook.com/Onlineobsor/ ★Facebook Group - https://facebook.com/groups/274853876672407/ ★Twitter - https://twitter.com/sumanta096?s=08 ★★Dailyhunt(অবসর সময়ের সঙ্গী) -https://profile.dailyhunt.in/sumanta09456 **Plz subscribe This channel Like & share #অবসরসময়েরসঙ্গী https://www.youtube.com/channel/UCOgovPBc-l97fHe4I1o1Diw

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ