শ্বেতী রোগের লক্ষণ থেকে চিকিৎসা ঃ

শ্বেতী রোগ শ্বেতী রোগ মানুষের ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। শ্বেতী রোগ যে কারোরই হতে পারে। সাধারণত শরীরের যেসব অঙ্গ আবরণমুক্ত থাকে যেমন : হাত, পা, বাহু, মুখ এবং ঠোট সেসব অঙ্গে শ্বেতী দেখা যায়। শ্বেতী রোগ মূলত ১০-৩০ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম দেখা যায়। শ্বেতী রোগ কি শ্বেতী রোগে ত্বক মেলানিন (যা মানুষের ত্বক, চোখ ও চুলের রঙ নির্ধারণ করে) হারায়। যখন ত্বকের কোষগুলো ক্ষয় হয় বা মারা যায় তখন শ্বেতী রোগ হয়। কারণ ত্বকের কোসগুলোই মেলানিন তৈরি করে। শ্বেতীর ফলে ত্বকের উপর সাদা দাগের আকার দেখা যায়। শ্বেতী রোগ তিনভাবে হতে পারে: শরীরের অল্প কিছু অংশে যে কোন একদিকে (বাম অথবা ডান দিকে) শরীরের অধিকাংশ জায়গায় শ্বেতী রোগ হয়েছে কি করে বুঝবেন শ্বেতী রোগের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো সাধারণত: হলো : ত্বকের উপর সাদা দাগ পড়লে অল্প বয়সে মাথার চুল, চোখের পাপড়ি, ভ্রু, দাড়ি সাদা বা ধূসর হলে মুখের ভিতরের কলাগুলো বর্ণহীন হলে (Mucous membranes) চোখের ভিতরের অংশ রংহীণ হলে অথবা রংয়ের পরিবর্তন হলে কখন ডাক্তার দেখাবেন ত্বক, চুল এবং চোখ ফ্যাকাসে হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কোথায় চিকিৎসা করাবেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জেলা সদর হাসপাতাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বেসরকারী হাসপাতাল কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে রোগের ইতিহাস বংশের রোগের ইতিহাস ত্বকের বায়োপসি (Skin Biopsy) রক্তের পরীক্ষা চোখের পরীক্ষা কি ধরণের চিকিৎসা আছে শ্বেতী রোগের চিকিৎসা ৬-১৮ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ডাক্তার নিচের ব্যবস্থাগুলো গ্রহণের জন্য বলতে পারেন : ঔষধ ব্যবহার করা (Topical) মুখে ঔষধ খাওয়া শল্য চিকিৎসা বাড়তি সতর্কতা নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে এমন মলম (ক্রিম) ব্যবহার করতে হবে যাদের গায়ের রঙ ফর্সা তারা গা তামাটে রঙ করা (Tanning) থেকে বিরত থাকতে হবে

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ