কলার মোচার উপকারিতা ঃ

কলার মোচা সুস্বাস্থ্যের জন্য কাঁচাকলা যেমন উপকারী সবজী তেমনি উপকারী কলার মোচা। গ্রামে গঞ্জে অনেকের কাছে কলার মোচা ফেলনা হিসেবে পরিচিত। প্রচুর আয়রনসমৃদ্ধ কলার মোচা মাঝে-মধ্যে সুলভ মূল্যে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেয়া যাক খাওয়ার যোগ্য কলার মোচার ফুলে কী কী উপকার আমরা পেতে পারি। ১/ রক্তের মূল উপাদান হিমোগ্লোবিনকে শক্তিশালী করতে কলার মোচার তুলনা হয় না। দেহে রক্তের পরিমান ঠিক রাখতে বা রক্তশূণ্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কলার মোচা খুব উপকারী। ২/ কলার মোচায় আয়রনের সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়োডিন ইত্যাদি। গলগণ্ড বা গয়টার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আয়োডিন। ৩/ কলার মোচায় থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। অকালে দৃষ্টিশক্তি হারানো থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত কলার মোচা খেতে পারেন। ৪/ গর্ভস্থ শিশুর প্রায় ৭০ ভাগ মস্তিষ্কের গঠন মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় হয়ে থাকে। গর্ভবতী নারীদের এবং শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে কলার মোচা খাওয়া উচিৎ। ৫/ ত্বক, চুল ভালো রাখতে এই সবজির আয়রন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম দাঁতের গঠনেও রাখে অগ্রণী ভূমিকা। ৬/ মেনোপোজ বা নির্দিষ্ট বয়স পরে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীদের হাড় গঠন মজবুত করতে এই সবজি খুবই উপকারী। বয়স্ক নারী-পুরুষ ও বাড়ন্ত শিশু, খোলায়াড় বা যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন তাদের জন্য এই সবজি আশীর্বাদস্বরূপ। সাবধানতা অতিরিক্ত আয়রণ থাকায় কলার মোচা বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে কলার মোচা খেয়ে গ্রহণ করুন প্রয়োজনীয় উপকার।দেশে কলা গাছের কোন অভাব নেই। গরিব ঘরে অন্য কিছু না থাকলেও কলার গাছ ঠিকই দেখা যায়। যেকোনো জঙ্গল জীর্ণ এলাকায় প্রাকৃতিকভাবেই কলা গাছের উৎপত্তি দেখা যায়। কলা গাছ যেকোনো মাতিতে কোন প্রকারের পরিচর্যা ছাড়াই বেড়ে উঠতে পারে। কলা সাধারনত দুই ভাবে খাওয়া যায়, কাঁচা কলা রান্না করে, আর পাকা কলা ফল হিসেবে খেয়ে। এছাড়াও কলার মোচা বা ভিতরের থোড়ও অনেকে রান্না করে খেয়ে থাকে। বর্তমান সবজিগুলোর মধ্যে দৃষ্টিনন্দন সবজি কলার মোচা। এর ভেষজ গুন অনেক, * আয়ুর্বেদ মতবাত অনুযায়ী, কলার মোচা সেদ্ধ করে পেঁয়াজ, লবণ ও সরষে তেল দিয়ে ভর্তা করে খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এটা হজম শক্তিতে, কোষ্ঠকাঠিন্যে, ডায়াবেটিস, বায়ু, পিত্ততে খুবই উপকারী। * কলার মোচা আয়রনে ভরপুর। আয়রন রক্তের মূল উপাদান হিমোগ্লোবিনকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও ত্বক, চুল ভালো রাখতে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। * কলার মোচা ভর্তা বা ডালনা নাক দিয়ে রক্ত পড়া কমাতে সাহায্য করে। * কলার মোচার থোড় রুচি বাড়ায়, ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া মেয়েদের শ্বেত ও রক্তপ্রদর রোগ ভালো করতে সাহায্য করে। থোড় বেটে রস করে চিনি ও মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। * কলায় বিদ্যমান ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতি দাঁতের গথনে সাহায্য করে। * কলার মোচা রক্ত সল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। * এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘এ’, যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। * গর্ভস্থ শিশুর প্রায় ৭০ ভাগ মস্তিষ্কের গঠন মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় হয়। তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য কলার মোচা অনেক উপকারী। * মেনোপোজ হওয়া নারীদের হাড় মজবুত করতে কলার মোচা কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। তাই বয়স্ক নারী-পুরুষ ও বাড়ন্ত শিশু, খোলায়াড় বা যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন তাঁদের জন্য এই সবজি আশীর্বাদস্বরূপ। * কলা গাছের শিকড় ও মূলও নানান রোগ সারাতে অনেক উপকারী।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ