শীতে নখের যত্নে করণীয় ঘরোয়া উপায় :

শীতে নখের বাড়তি যত্ন শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর তার আর্দ্রতা হারাতে শুরু করেছে। এই আর্দ্রতার অভাব শরীরের শীতজনিত সমস্যার প্রধান কারণ। তাই পুরো শীতজুড়ে শরীরের প্রতিটি অংশের আলাদা আলাদা যত্নের প্রয়োজন। শীতে শরীরের আর্দ্রতার অভাবে নখ ভেঙ্গে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তবে সঠিক যত্ন নিলে সবসময়ই নখ ভালো রাখা যায়। এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন সায়মা বিউটি পার্লারের কর্ণধার রূপবিশেষজ্ঞ সায়মা আক্তার। শীতে প্রকৃতি তার আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। এসময় আমাদের হাত-পা অনেক শুষ্ক হয়ে যায় এবং নখের ত্বকও শুকিয়ে যায়। যাদের নখ বেশি শুষ্ক হয়, একপর্যায়ে এসে সে নখগুলো ভেঙে যায়। তাই হাত বা পায়ের নখ যেন খুব সহজেই শুষ্ক না হয়ে যায়, সেজন্য মেনিকিওর-পেডিকিওর ঠিক সময় মতো করিয়ে নিতে হয়। নখের মেনিকিওর ও পেডিকিওর ঠিকভাবে করতে ময়েশ্চারাইজার, ক্রিম, কিউটেকার্লসহ অনেক কিছুই ব্যবহার করা হয়। এর ফলে নখকে একটি নির্দিষ্ট আকারে ফুটিয়ে তোলা যায়। অন্তত প্রতি ১৫ দিনে একবার হলেও মেনিকিওর পেডিকিওর করে নেওয়া উচিৎ। তবে নখের যত্নে আরো সচেতন থাকতে চাইলে প্রতি ১০ থেকে ১২ দিনের ব্যবধানে মেনিকিওর-পেডিকিওর করে নিতে পারেন। নখ ভেঙে গেলে ভয়ের কিছু নেই। ভেঙে যাওয়া নখে নিয়মিত নেইল হার্ডন ব্যবহার শুরু করুন। রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে নখে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। এ ব্যবহারে নখের ভেঙে যাওয়া ভাব অনেকটাই কমে যাবে। যাদের নখ খুবই পাতলা এবং নরম তারা চাইলে নিয়মিত নখে রসুন ঘষতে পারেন। রসুনের ব্যবহারেও নখ অনেকটাই শক্ত হয়ে আসবে। এছাড়াও সামান্য কুসুম গরম জলে শ্যাম্পু মিশিয়ে তার মধ্যে কয়েক মিনিট ধরে হাত ও পায়ের নখ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভিজানো নখ ঘষে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। কুসুম গরম পানিতে নখের যত্ন নিলে নখের চারপাশের ত্বক যেমন পরিষ্কার হয়, তেমনি নখের পার্শ্ববর্তী ত্বকের লাবণ্যতাও দীর্ঘ দিন টিকে থাকে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ