সহবাসের সময় নারীর তৃপ্তিক আনন্দ কিভাবে দেবেন ঃ
★★→যৌনমিলনে পুরুষের সঙ্গে যাতে নারীও পূর্ণ সঙ্গম তৃপ্তি ও সুখ উপভোগ করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখা পুরুষের কর্তব্য।
তাছাড়া, নারীর সহজে যৌন উত্তেজনা আসে না। এর কারণ,নারীর যৌন অঙ্গ ছাড়াও কামকেন্দ্র শরীরের নানা অঞ্চলে বিস্তৃত।
যেমনঃ-
১) ঠোঁট
২) গাল
৩) মুখ
৪) স্তন
৫) স্তনের বোঁটা
৬) নিতম্ব
৭) যোনি ও ভগাঙ্কুর
নারীর ভগাঙ্কুর নারীর শ্রেষ্ঠতম যৌন কেন্দ্র এবং এর ক্রিয়া ব্যতিত কোনো শৃঙ্গারই সম্পূর্ণ হতে পারে না-
এমন মত প্রকাশ করেছেন যৌন বিজ্ঞানীরা। ডাঃ ব্রায়ান রবিনসন নামে যৌন শাস্ত্রবিদ বলেন,
‘নারীর ভগাঙ্কুর নারী দেহরূপী প্রাসাদের সদর দরোজার কলিং বেল’।
বৈদ্যুতিক কলিং বেলে আঘাত করলে যেমন সমস্ত প্রাসাদে তার শব্দ ধ্বনিত হয় এবং প্রাসাদবাসী সংকুচিত হয়।
তেমনি নারীর ভগাঙ্কুরে হালকা আঘাত করলে বা স্পর্শ করলে নারী দেহের সমস্ত কাম-চৈতন্য মাথা চাড়া দিয়ে জেগে ওঠে।
সহবাসকালে নারীর এসব জায়গায় পুরুষের হাত বা মুখের স্পর্শ না লাগলে নারীর কামেচ্ছা যেন তৎক্ষণাৎ জেগে ওঠে না।
তাই নারী চায় পুরুষ তাকে কাছে টেনে নিয়ে চুম্বন, আলিঙ্গন, স্তন মর্দন, দংশন ও গাত্র লেহনে ভরিয়ে তুলুক।
যৌন মিলনকালে পুরুষ লিঙ্গ স্ত্রীর যৌন অঙ্গসমূহ দখল করলেও পুরুষের হাত চায় স্তন মর্দন করতে, আর মুখ চায় ঠোঁট চুম্বন করতে।
কাজেই,যৌনাঙ্গেরমতই স্ত্রীর স্তন, বুক, মুখ, গাল, ঠোঁট যৌন মিলনকালে পুরুষের প্রিয় অঞ্চল।
স্বামীর শৃঙ্গারে উত্তেজিত ও উৎক্ষিপ্ত হয়ে রতিক্রিয়ায় স্ত্রী যেমন অধিক আনন্দ পায়, ঠিক সেরূপভাবে স্ত্রীর শৃঙ্গারে উত্তেজিত উৎক্ষিপ্ত হয়ে মিলনকাজে পুরুষও আনন্দ ও তৃপ্তি লাভ করে।
শৃঙ্গার দ্বারা স্ত্রীর সুপ্ত, ঘুমন্ত যৌনতাকে জাগ্রত করতে হয়।
অতএব সঙ্গমের পূর্বে নারীকে শৃঙ্গার করা প্রত্যেক পুরুষেরই কর্তব্য। যৌনমিলন যেমন প্রত্যেক জীবের শারীরিক ও মানসিক তাগিদ, ঐরূপ শৃঙ্গারও জীবের একটা স্বাভাবিক তাগিদ।
যৌনতাকে উৎকর্ষতায় ও সুখে- তৃপ্তিতে ভরিয়ে তুলতে হলে শৃঙ্গার করুন, শৃঙ্গারে শৃঙ্গারে চূড়ান্ত যৌন মিলনের দিকে এগিয়ে যান।
দেখবেন আপনি সুখী হবেন, আপনার স্ত্রীও সুখী হবেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন