রসূনের ভেষজগুণ সমৃদ্ধ বিভিন্ন রোগে ঃ

কাঁচা রসুনের উপকারিতা  পাঠ - ১ রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা আজকাল কমবেশি আমরা সকলেই জানি। আর বাঙলি রান্নায় তো রসুনের ব্যবহার আছেই আছে। ফলে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই থাকে রসুন। এছাড়া হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে অনেকেই খালি পেটে কাঁচা রসুন খেয়ে থাকেন। কিন্তু কাঁচা রসুনের আর কোন ব্যবহার জানেন কি আপনি? যেমন, কাঁচা রসুন ব্রণ বা গলা ব্যথা সারায় দ্রুত, চুল পড়া কমিয়ে নতুন চুল গজায়, আবার বেশী মাছ ধরতে বা আঠা হিসাবেও আছে এর ব্যবহার! চলুন, জেনে নিই কাঁচা রসুনের এমনই বিস্ময়কর ১০টি ব্যবহার। ১) জ্বর ঠোসা জ্বর হলে, বিশেষ করে রাতে জ্বর হতে থাকলে ঠোঁটের কোণে জ্বর ঠোসা অনেকেরই হয়। আর এতে মারাত্মক ব্যথাও হয়। জ্বর ঠোসা সারাতে কাঁচা রসুনের রস আক্রান্ত স্থানে লাগান। ব্যথা কমবে আর সেরেও যাবে দ্রুত। ২) ব্রণ দ্রুত ব্রণ সারাতে বা ব্রণের ব্যথা কমাতে আক্রান্ত স্থানে কাঁচা রসুন বা কাঁচা রসুনের রস লাগান। দ্রুত নিরাময় হবে। ৩) পায়ের চুলকানি সারাদিন জুতো পরে থাকার পর অনেকেরই পায়ে র‍্যাশ ও চুলকানি হয়। এটা সারাতে উষ্ণ পানিতে রসুন ও সামান্য লবণ দিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। তারপর সাবান ও সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। ৪) গলা ব্যথা দ্রুত গলা ব্যথা নিরাময় করতে এক কোয়া কাঁচা রসুন চুষে চুষে খেয়ে নিন। গন্ধ ভালো না লাগলে এরপর দুধ খেয়ে নিন এক গ্লাস। কাঁচা রসুনের রস এভাবে আস্তে আস্তে খেলে তা গলা ব্যথায় খুবই উপকারী। ৫) ত্বকের সমস্যা ত্বকের যে কোন সমস্যা যেমন ফোঁড়া বা ফাংগাল ইনফেকশন ইত্যাদি সারাতে রসুন খুবই সহায়ক। কেবল আক্রান্ত সাথে কাঁচা রসুনের রস লাগালেই হবে। ১০/১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন। ৬) হাইপারটেনশন এই সমস্যা নিরাময়ে রোজ সকালে খালি পেটে কয়েক কোয়া থেঁতো রসুন খেয়ে নিন। ৭) বেশী মাছ ধরতে মাছ ধরতে খুব ভালোবাসেন? বেশী মাছ ধরার জন্য টোপের মাঝে দিয়ে দিন কাঁচা রসুন। লোভে লোভে প্রচুর মাছ উপস্থিত হবে। ৮) গাছ রক্ষায় পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছ রক্ষায় রসুন দারুণ উপকারী। মিহি থেঁতো করা কাঁচা রসুন, পানি ও সামান্য তরল সাবান একসাথে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। এটা কিছুদিন পর পর গাছে স্প্রে করুন পোকামাকড় দূরে রাখতে। ৯) আঠা হিসাবে! রসুন ধরার পর লক্ষ্য করেছেন যে হাত কেমন আঠা আঠা হয়ে যায়? কাগজ সহ ছোট খাট অনেক কাজেই আপনি আঠা হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন রসুন! ১০) নতুন চুল গজাতে চুল পড়ে যাচ্ছে খুব? মাথায় নতুন চুল গজাতে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত রসুন ঘষুন। সাড়া রাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিনের মাঝেই নতুন চুল গজাবে। পাঠ ২ প্রতিদিন মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়ার ৩৪ টি উপকারিতা কাঁচা রসুন খাওয়া অনেকেই একেবারে পছন্দ করেন না। মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ভয়ে অনেকেই কাঁচা রসুনের কাছ থেকে দূরেই থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় কাঁচা রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। বিশেষ করে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা দূর করতে কাঁচা রসুনের জুড়ি নেই। ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইন্সের গবেষণায় রসুনের এইসকল গুণাবলী প্রকাশ পায়। আজ জেনে নিন রসুনের এমনই অসাধারণ কিছু গুণাবলী সম্পর্কে। জেনে নিন প্রতিদিন মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়ার উপকারিতা। ১) হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। ২) শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। রক্ষা করে শিরা উপশিরায় মেদ জমার মারাত্মক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে। ৩) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে। ৪) গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। ৫) ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। ৬) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে। ৭) যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ৮) দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়। ৯) যৌনমিলনের অসাবধানতা বশত রোগ ট্রিকোমোনিয়াসিসের হাত থেকে রক্ষা করে। ১০) হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। ১১) কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ১২) গলব্লাডার ক্যান্সার মুক্ত রাখে। ১৩) স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ১৪) রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে। ১৫) প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ১৬) পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে। ১৭) ইষ্ট ইনফেকশন দূর করে। ১৮) শিরা উপশিরায় জমাট বাঁধা রক্ত ছাড়াতে সহায়তা করে। ১৯) ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে। ২০) দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে। ২১) চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ২২) হাতে পায়ে জয়েন্টের ব্যথা দূর করে এবং বাতের ব্যথা সারায়। ২৩) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ২৪) স্টাফিলোকোক্কাস ইনফেকশন দূর করে। ২৫) দাঁতের ব্যথা সারাতে সহায়তা করে। ২৬) ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে। ২৭) আঁচিলের সমস্যা সমাধান করে। ২৮) দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ২৯) চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। ৩০) রসুনের ফাইটোনসাইড অ্যাজমা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ৩১) দীর্ঘমেয়াদী হুপিং কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ৩২) ঘুম না হওয়া, অনিদ্রা রোগ মুক্ত রাখে। ৩৩) ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ৩৪) দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সতর্কতাঃ ১) দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রান্নায় রসুন ব্যবহার হলেও দিনে মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়া যায়। ২) রসুনে অ্যালার্জি কিংবা কোনো বিশেষ কারণে রসুন খাওয়া বন্ধ থাকলে তাদের রসুন না খাওয়াই ভালো। ৩) অতিরিক্ত রসুন খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বমিভাব হতে পারে। পাঠ - ৩ খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা অনেকের কাছেই সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়াটা ভীষণ অস্বাস্থ্যকর মনে হতে পারে। কিংবা অনেকেই মনে করতে পারেন যে এটা স্রেফ একটা কুসংস্কার। কিন্তু আসলেই কি তাই? একদম না! খালি পেটে রসুন খাওয়া দেহের জন্য ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার। বরং খালি পেটে রসুন খেলে এমন কিছু উপকার হয়, যেটা অন্য খাবারের সাথে রান্না করা অবস্থায় খেলে হয় না। চলুন, জেনে নিই খালি পেটে রসুন কীভাবে খাবেন ও কেন খাবেন। কীভাবে খাবেন? খালি পেটে রসুন অবশ্যই খেতে হবে সকালে, নাস্তা করার আগে। চিবিয়ে খেতে না চাইলে পানি দিয়ে গিলে ফেলুন দুই কোয়া রসুন। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই টুকরো করে নেবেন। কেন খাবেন? খালি পেটে রসুন খাওয়া মূলত রসুনের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, একে পরিণত করে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকে। গবেষকদের মতে খালি পেটে রসুন খাওয়া হাইপারটেনশন ও স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে, অন্যদিকে হজমের গণ্ডগোল রোধ করে। স্ট্রেস থেকে পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে সেটাও প্রতিরোধ করে খালি পেটে রসুন। অন্যদিকে পেটের গণ্ডগোল জনিত অসুখ, যেমন ডায়রিয়া হলে এই খালি পেটে রসুন দ্রুত তা সারিয়ে দেয়। সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের রক্ত পরিশুদ্ধ করে ও লিভারের ফাংশন ভালো রাখতেও সহায়তা করে। Gerlicআমরা ছোট কাল থেকেই খালি পেটে রসুন খাওযার কথা শুনে এসেছি। যা অনেকের কাছে নানী-মায়ের রেসিপি নামেও পরিচিত। তবে খালি পেটে রসুন খাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। খালি পেটে রসুন খেলে বিভিন্ন রোগ দূর হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে তোলে। জেনে নিন খালি পেটে রসুন খাওযার উপকারিতাসমূহ: প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক: গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর ন্যায় কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে। তখন খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং তখন রসুনের ক্ষমতার কাছে তারা নতিস্বীকার করে। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসমূহ আর রক্ষা পায় না। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন, রসুন খাওয়ার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়। রসুন খাওয়ার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়। অন্ত্রের জন্য ভাল: খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এটা হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় পরতে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে: অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করে। শ্বসন: রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুন এ সকল রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। যক্ষ্মা প্রতিরোধক: আপনার যদি যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা পাবেন। সতর্কবার্তা: যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা রয়েছে বা হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভাল। অনেকের রসুনের গন্ধ সহ্য হয় না। এখন রসুনকে ঔষধের বড়ি হিসেবে তৈরি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। যাদের রসুনে অ্যালার্জি আছে তাঁরা এড়িয়ে চলুন। পরিশেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেই, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন এর ২/৩ কোয়া চিবিয়ে খেলে স্পার্ম কাউন্ট বাড়ে, এরই সাথে কারো যদি ইরেকসনে সমস্যা হয় সেটাও দূর হয় রসুন খেলে। এই খাবার নিয়মিত ভাবে ৩ মাস খেলেই বুঝতে পারবেন আপনার শারীরিক সক্ষমতার পরিবর্তনটি। এর সাথে যোগ করতে পারেন কালি জিরা যার উপকারিতা সবারই জানা। পাঠ - ৪ যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো অব্যর্থ ঔষধ। রসুন কে বলা হয় ‘গরীবের পেনিসিলিন’। কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং immune booster হিসাবে কাজ করে। অতি সহজলভ্য সবজি হিসেবে আমরা প্রতিনিয়তই রসুন খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থকি। আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী। অতিরিক্ত মাত্রায় শারীরিক মেলামেশা করার ফলে দেখা দিতে পারে শুক্রাণু সল্পতা। কারণ এভাবে শুক্রাণুর মাত্রা কমে যায় এবং বীর্য পাতলা হয়ে যায়। আপনার শরীরে যদি শুক্রাণুর মাত্রা কমে যায় তবে আপনি অনেক সময় সন্তান জন্মদানে হতে পারেন অক্ষম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি মিলিলিটার শুক্রাণুতে ২০ মিলিয়নের কম স্পার্ম থাকলে যেকোনো পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন। বাজে খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, ব্যায়ামে অনীহা প্রভৃতি কারণে দিন দিন অনুর্বরতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক মসলা রসুন। কেননা সুস্থ semen (বীর্য) তৈরিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে রসুন। এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রেও রসুন খুব কার্যকরী। সেবন বিধি প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোষ কাঁচা রসুন খেলে যৌবন দীর্ঘ স্থায়ী হয়। যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিত। এতে ভালো ফল পাবেন। যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়। সাবধানতা যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদজনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে। পাঠ - ৫ রসুন হল পিঁয়াজ জাতীয় একটি ঝাঁঝালো সবজি যা রান্নার মশলা ও ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যাবহৃত হয়। রসুন গাছ একটি সপুষ্পক একবীজপত্রী লিলি শ্রেণীর বহুবর্ষজীবী গুল্ম। বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)। উপযুক্ত জমি ও মাটি জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ ও সহজেই গুঁড়া হয় এমন মাটি রসুনের উপযোগী। জাত পরিচিতি অনুমোদিত জাত নেই। স্থানীয় জাত চাষ করা হয়। চারা তৈরি বীজ বপনঃ শুকনো রসুনের বাহিরের সারির কোয়া লাগানো হয়। ১৫ সে.মি. দূরত্বে সারি করে ১০ সে.মি. দূরে ৩-৪ সে.মি. গভীরে রসুনের কোয়া লাগানো হয়। প্রতি হেক্টরে ৩০০-৩৫০ কেজি বীজ রসুনের প্রয়োজন হয়। সার ব্যবস্থাপনা রসুনে হেক্টর প্রতি সারের পরিমাণ হলো-গোবর ১০ টন, ইউরিয়া ২০০ কেজি, টিএসপি ১২৫ কেজি, এমওপি ১০০ কেজি, জিংক সালফেট ২০ কেজি, বোরাক্স ১০ কেজি ও জিপসাম ১০০ কেজি। জমি তৈরির সময় সমুদয় গোবর, টিএসপি, জিংক সালফেট, বোরাক্স ও জিপসাম মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। রসুন লাগানোর ৩০ দিন ও ৬০ দিন পর যথাক্রমে ১ম ও ২য় কিস্তির উপরি সার প্রয়োগ করা হয়। প্রতিবারে প্রতি হেক্টরে ১০০ কেজি ইউরিয়া ও ৫০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করা হয়। সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা মাটিতে রসের অভার থাকলে মাঝে মাঝে সেচ দিতে হবে। প্রতিবার সেচ দেয়ার পর মাটি নিড়ানি দিয়ে কুপিয়ে ঝুরঝুরে করে দিতে হবে। আগাছা দেখা দিলে তা পরিষ্কার করতে হবে। # পোকা পোকার নাম : থ্রিপস ভূমিকা : থ্রিপস ছোট আকারের পোকা বলে সহজে নজরে আসে না কিন্তু' পাতার রস চুষে খায় বলে অধিক আক্রমণে পাতা শুকিয়ে গাছ মরে যায় ও ফলন কম হয়। পোকা চেনার উপায় : স্ত্রী পোকা সরম্ন, হলুদাভ। পুরম্নষ গাঢ় বাদামী । বাচ্চা পোকা হলুদ অথবা সাদা । এদের পিঠের উপর লম্বা দাগ দেখা যায়। ক্ষতির নমুনা : রস চুষে খায় বলে পাতা রূপালী রং ধারণ করে অথবা ক্ষুদ্রাকৃতির বাদামী দাগ বা ফোটা দেখা যায়। আক্রমণ বেশি হলে পাতা শুকিয়ে মরে যায়। কন্দ আকারে ছোট ও বিকৃত হয়। অনুকূল পরিবেশ : বিকল্প পোষকের উপস্তিতি। জীবন চক্র : স্ত্রী পোকা পাতার কোষের মধ্যে ৪৫-৫০ টি ডিম পাড়ে। ৫-১০ দিনে ডিম হতে নিম্ফ (বাচ্চা) বের হয়। নিম্ফ ১৫-৩০ দিনে দুটি ধাপ অতিক্রম করে । প্রথম ধাপে খাদ্য গ্রহণ করে এবং দ্বিতীয় ধাপে খাদ্য গ্রহণ না করে মাটিতে থাকে । এরা বছরে ৮ বার বংশ বিস্তার করে এবং স্ত্রী পোকা পুরুষ পোকার সাথে মিলন ছাড়াই বাচ্চা দিতে সক্ষম । ব্যবস্থাপনা : সাদা রংয়ের আঠালো ফাঁদ ব্যবহার ক্ষেতে মাকড়সার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এ পোকা দমন করা যায়। অনুমোদিত কীটনাশক নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। # রোগ রোগের নাম : পার্পল বস্নচ / বস্নাইট ভূমিকা : এ রোগ পেঁয়াজের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। যে কোন বয়সে গাছের পাতা ও কান্ড আক্রান্ত হয়। অধিক আক্রমণে পেঁয়াজে ফুল আসে না ও ফসল কম হয়। আক্রান্ত বীজ বেশিদিন গুদামে রাখা যায়না । বাজার মূল্য কমে যায়। রোগের কারণ : অল্টারনারিয়া পোরি ও স্টেমফাইলিয়াম বট্রাইওসাম নামক ছত্রাকদ্বয় দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে। ক্ষতির নমুনা : কান্ডে প্রথমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানি ভেজা হালকা বেগুনী রংয়ের দাগের সৃষ্টি হয়। দাগগুলি বৃদ্ধি পেয়ে বড় দাগে পরিণত হয় এবং আক্রান্ত স্থান খড়ের মত হয়ে শুকিয়ে যায়। - আক্রান্ত পাতা ক্রমান্বয়ে উপরের দিক হতে মরতে শুরু করে। - পাতা বা কান্ডের গোড়ায় আক্রান্ত স্থানের দাগ বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ পাতা বা বীজবাহী কান্ড ভেঙ্গে পড়ে এতে বীজ অপুষ্ট হয় ও ফলন কম হয়। অনুকূল পরিবেশ : বৃষ্টিপাত হলে এ রোগ দ্রত বিস্তার লাভ করে। বিস্তার : আক্রান্ত বীজ, গাছের পরিত্যাক্ত অংশ ও বায়ুর মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। ব্যবস্থাপনা : - রোগ প্রতিরোধী বা সহনশীল জাত ব্যবহার - রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার - ফসল পর্যায় অনুসরন করা অর্থ্যাৎ একই জমিতে পর পর কমপক্ষে ৪ বছর পেঁয়াজ না করা - পেঁয়াজ গাছের পরিত্যাক্ত অংশ, আগাছা ধ্বংশ করা - অনুমোদিত ছত্রাক নাশক নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করা । # রোগের নাম : কান্ড পঁচা রোগের কারণ : স্ক্লেরোসিয়াম রলফসি ও ফিউজারিয়াম নামক ছত্রাক দ্ধারা এ রোগ হয়। ভূমিকা : যে কোন বয়সে গাছ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কন্দ ও শিকড়ে এর আক্রমণ দেখা যায়। আক্রান্ত কন্দে পচন ধরে এবং আক্রান্ত কন্দ গুদামজাত করে বেশী দিন রাখা যায় না। ক্ষতির নমুনা : আক্রান্ত গাছের পাতা হলদে হয়ে যায় ও ঢলে পড়ে । - টান দিলে আক্রান্ত গাছ খুব সহজে মাটি থেকে কন্দসহ ( পেঁয়াজ) উঠে আসে। - আক্রানত স্থানে সাদা সাদা ছত্রাক এবং বাদামী বর্ণের গোলাকার ছত্রাক গুটিকা (স্ক্লেরোসিয়াম ) দেখা যায়। অনুকূল পরিবেশ : অধিক তাপ ও আর্দ্রতা পূর্ণ মাটিতে এ রোগ দ্রত বিস্তার লাভ করে। ক্ষেতে সেচ দিলেও এ রোগ বৃদ্ধি পায়। বিস্তার : এ রোগের জীবাণু মাটিতে বসবাস করে বিধায় সেচের পানির মাধ্যমে ও মাটিতে আন্তঃ পরিচর্যার সময় কাজের হাতিয়ারের মাধ্যমে এ রোগের বিস্তার হয়। ব্যবস্থাপনা : - আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংশ করতে হবে। - মাটি সব সময় স্যাঁত স্যাঁতে রাখা যাবে না। - আক্রান্ত জমিতে প্রতি বছর পেঁয়াজ /রসুন চাষ করা যাবে না। - অনুমোদিত ছত্রাক নাশক নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। ফসল সংগ্রহ রসুন গাছের পাতা শুকিয়ে বাদামী রং ধারণ করলে ঢলে পড়ে তখন রসুন তোলার উপযোগী হয়। গাছসহ রসুন তোলা হয় এবং ঐ ভাবে ছায়াতে ভালভাবে শুকিয়ে মরা পাতা কেটে সংরক্ষণ করা হয়। প্রতি হেক্টরে ১০-১২ টন ফলন পাওয়া যায়। রসুন গাছের বিটপের নিম্নাংশ পরিবর্তিত হয়ে বাল্ব জাতীয় সঞ্চয়ী অঙ্গ তৈরি করে যা মশলা হিসাবে রান্নায় ব্যাবহৃত হয়। পিয়াঁজের সঙ্গে প্রধান পার্থক্য হল সাদা রঙ এবং অনেক কোয়ার গুচ্ছ। ব্যবহার মসলা হিসেবে রসুন ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া বিভিন্ন আচার ও মুখরোচক খাবার তৈরিতে রসুনের ব্যবহার রয়েছে। রসুন যেমন আমাদের রসনাতৃপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, তেমনি রসুন দিয়ে নাকি ভ্যাম্পায়ার তাড়ানো হয়। শতকের পর শতক ধরে রসুন নিয়ে এমনই সব কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে এমনকিছু ‘মিথ’ আছে, যা ৭০০০ বছরেরও বেশি পুরানো। ১) ইউরোপে ‘হোয়াইট ম্যাজিক’-এর নাকি মূল মাধ্যমই হচ্ছে রসুন। এমনকী, এই রসুন দিয়ে ইউরোপিয়ানরা ভ্যাম্পায়ারদের মোকাবিলা করেন। রসুনের মালা বা রসুন ঘরের সামনে ঝুলিয়ে রাখলে ভ্যাম্পায়াররা আসতে পারে না বলে বিশ্বাস। ২) ইসলাম মতে রসুন খেয়ে মসজিদে যাওয়া মানা। কারণ, রসুনের গন্ধে আল্লার নাম করতে গিয়ে মন অন্যদিকে চলে যেতে পারে। হিন্দুরাও এই একই কারণে ভগবানের পুজো-অর্চনার সময়ে বা মন্দিরে যেতে গেলে রসুনকে এড়িয়ে চলেন। কারণ, রসুনের গন্ধে মনের পবিত্রতা নষ্ট হয় বলে বহু হিন্দু মনে করেন। ৩) কর্পূরের সঙ্গে পোড়া রসুন মেশালে মশা, মাছি, পোকামাকড়ের হাত রেহাই পাওয়া যায়। রসুনকে পিষে জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘর মুছলেও পোকা-মাকড়ের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ৪) রসুনে ১৭ মাত্রার অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এই অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের ভিতরের অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলোকে কাজ করতে সাহায্য করে। কারণ, মানুষের শরীরে ৭৫ শতাংশে থাকে এই অ্যামিনো অ্যাসিড। ৫) চাইনিজ খাবারে রসুন বেশি ব্যবহার হওয়ার কারণ সেখানে বিশ্বের ৬৬ভাগ রঁসুন উৎপাদন হয়। ৬) প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জখম সৈনিকদের গ্যাংগ্রিনের চিকিৎসাতে সালফারের ভাণ্ডার কম পড়লে রসুন ব্যবহার করা হত। ৭) রসুন হার্টের পক্ষে খুবই ভাল। কারণ, কাঁচা রসুন খেলে কোলেস্টোরল কমে। সর্দি-কাশিতেও রসুনের পথ্য মারাত্মক রকমের কার্যকারি। ৮) হাত থেকে রসুনের গন্ধ দূর করতে, ঠান্ডা জলের মধ্যে স্টিলের বাসনে হাত ঘসুন। গন্ধ দূর হবে। ৯) ১৯ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে ‘গার্লিক ডে’ পালিত হয়। ১০) বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবারেও রসুন ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘লাসুন কি ক্ষীর’। ভেষজ ব্যাবহার রসুন বিশ্বে বাণিজ্যিক ভেষজ হিসাবে সফলতম। ২০০৪ সালে ২৭ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ভেষজ রসুনজাত ওষুধ বিক্রয় হয়[২]। রসুন নিম্নলিখিত উপকার করে বলে মনে করা হয়ঃ রক্তচাপ কম করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে। করনারি (হার্ট) ধমনী রোগে উপকারী । ক্রিয়া প্রণালী এর প্রধান সক্রিয় উপাদান অ্যালিসিন নামক সালফারযুক্ত জৈব যৌগ। অ্যালিসিন রসুনের কুখ্যাত গন্ধ ও বিখ্যাত ভেষজ গুণ দুইয়ের-ই প্রধাণ কারণ। অক্ষত রসুনে অ্যালিসিন থাকে না, থাকে অ্যালিইন - একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা প্রোটিন তৈরীতে অংশ গ্রহণ করে না (যা নিজে আরেক অ্যামিনো অ্যাসিড সিস্টিন থেকে তৈরি হয়) । রসুনকে কাটলে বা ক্ষত করলে অ্যালিনেজ নামে একটি উৎসেচক অ্যালিইন থেকে অ্যালিসিন তৈরি করে। অ্যালিসিন খুবই স্বল্পস্থায়ী। রান্না করলে বা অ্যাসিডের প্রভাবে অ্যালিনেজও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই ভেষজ গুণের জন্য কাঁচা রসুন বেশি উপকারী। অ্যালিসিন দেহে কোলেস্টেরল তৈরির উৎসেচক এইচএমজিকোএ রিডাক্টেজ কে বাধা দেয় বলে জানা গেছে[২]। অনেকে বিশ্বাস করেন অণুচক্রিকার উপরে কাজ করে এটি রক্ততঞ্চনে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, যা হৃদোরোগে উপকারী। কিন্তু এর নির্ভরযোগ্য প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি[২]। পুষ্টি মূল্য রসুনে আমিষ, প্রচুর ক্যালসিয়াম ও সামান্য ভিটামিন ‘সি’ থাকে। ভেষজ গুণ ১) কৃমি নাশক ২) শ্বাস কষ্ট কমায় ৩) হজমে সহায়তা করে ৪) প্রস্রাবের বেগ বাড়ায় ৫) শ্বাসনালীর মিউকাস বের করে দেয় ৬) এ্যাজমা রোগীর উপশম দেয় ৭) হাইপারটেনশন কমায় ৮) চুল পাকানো কমায় ৯) শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল কমায়। ১০) হাড়ের বিভিন্ন রোগ সারায়।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ